৮:৪১ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৮, শুক্রবার |
| ১১ শা'বান ১৪৩৯
এস এম জামাল, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মজমপুর থেকে থেকে ভেড়ামারা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের মূল সড়কে বেরোলেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে ধুলাবালির। মজমপুর ট্রাফিক বক্স, এমআরএস ফিলিং ষ্টেশনের সামনে, পুলিশ লাইনস শপিং কমপ্লেক্স, পুলিশ লাইনের সামনে এবং থেকে বারখাদা ত্রিমোহনী এবং সর্বশেষ বারোমাইল পর্যন্ত সড়কে ধুলবালিক শহর হিসেবে রুপ নিয়েছে।
এসব সড়কে প্রতিদিনই ট্রাক-বাসসহ যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে থাকার কারনে দর্ঘ জানযটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এবং আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় চলাচল করে থাকে জনগন। অথচ সংশ্লিষ্টদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। প্রতিনিয়তদ দুর্ঘটনার সংভাদ পাওয়া যাচ্ছে। এসব ঘটনায় অনেকের প্রাণহানী হয়েছে। এবং পঙ্গুত্ব বরণ করেছে আরও অনেকেই।
এসড়কে এক বছর জুড়ে চলছে উন্নয়নের গর্ত আর খানাখন্দ।
গত বর্ষাজুড়েই ছিল কাদাপানি আর খানাখন্দের দুর্ভোগ। এখন শীতের সময় আবার পড়তে হচ্ছে ধুলাদূষণে। প্রতিনিয়ত স্কুল-কলেজে যাতায়াতকারী কোমলমতি শিক্ষার্থী ছাড়াও এ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সর্বসাধারণ। যেন দেখার কেউ নেই। উন্নয়ন-ধুলায় শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে কুষ্টিয়া শহরতলীর ত্রিমোহনী পর্যন্ত এলাকাবাসীর।
কুষ্টিয়ার মজমপুর থেকে বারখাদা ত্রিমোহনী পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের দোকানপাট আর হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোসহ বসবাসরত বাড়ীঘরে ধুলায় ঢাকা পড়েছে।
এদিকে সারাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে উন্নয়ন মেলা।
এ উন্নয়ন মেলায় উন্নয়নের চিত্র ধরে মেলায় বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের ষ্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তাই মেলাতে আসার অনেক দর্শনার্থীরা ক্ষোভের সুরেই বলেছেন উন্নয়ন মেলায় অনেক কিছুর উন্নয়ন হলেও সড়ক যেন ঘোর অন্ধকারে।
উন্নয়ন মেলায় আসা শাহরিয়া নামের এক তরুন জানালেন, কুষ্টিয়ার সড়ক মহাসড়করে যে অবস্থা। তাতে করে ‘কালো রঙের গাড়ি এসব সড়কে রাখলে ধুলায় ধূসর রং ধারণ করে। ধুলার কারণে এখানকার চায়ের দোকান আর খাবারের হোটেলে মানুষ খেতে পারে না। ’ মানুষ জীবনের ঝুকি প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। এসব ভাঙ্গাচোরা সড়কের কোন উন্নয়ন না হলেও উন্নয়ন মেলায় সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সকল দপ্তরই উন্নয়ন মেলায় বেশ স্বচ্ছল বলে মনে হয়েছে।
তার মতো আরও একযবিক জানান, উদ্ধতন কর্মকর্তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। তারা তো আর পাবলিকের মতো এসব ভাঙ্গাচোরা সড়কে চলাচল করেন। প্রশাসন কালো গ্লাস দেওয়া গাড়ীতে ঘুরে বেড়ায় বলে তারা এসব দেখেও, না দেখার ভান করে থাকে।
জানা গেছে, শুধু কুষ্টিয়ার উন্নয়নের নামে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা নিয়েই যেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ(সওজ) কর্মকর্তারা ব্যস্ত। সড়ক মহাসড়ক নিয়ে তাদের কোন ভাবনা বা চিন্তায় নেই। এসব সড়কের ধুলাবালিতে এবং ভাঙাচোরা সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় তা থেকেও সৃষ্টি হচ্ছে ধুলার। কুষ্টিয়ার মুল সড়কের পাশেই জিলা স্কুল, প্রতিতী বিদ্যায়, পুলিশ লাইন্স স্কুলসহ অস্যংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গুরুত্ব প্রতিষ্ঠান থাকায় শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ সবথেকে বেশি অসহায় পড়েছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুষ্টিয়ায় শ্বাসকষ্ট, যক্ষ্মা, হাঁপানি, চোখের সমস্যা, ব্রঙ্কাইটিস, সর্দি, কাশি, হাঁচিসহ ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে।
এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ধুলার দূষণ। এ কারণেই নানা সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে কুষ্টিয়াবাসী। ধুলার দূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কুষ্টিয়ায় বসবাসরত শিশু ও বয়স্ক নাগরিকেরা।