১০:৩১ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রোববার |
| ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪০
এসএনএন২৪.কম : যারা জীবনে নানা ট্রাজেডির কারণে স্তম্ভিত হয়ে গেছেন সেই মানুষগুলোকে ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে ডকুফিল্ম হাসিনা অ্যা ডটার’স টেল।
পরিবার-পরিজন সব হারানোর পরও অদম্য ইচ্ছা ও মানসিক শক্তির জোরে মানুষ যে সামনে এগিয়ে যেতে পারেন তারও জ্বলন্ত উদাহরণ প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে তৈরী করা এই ফিল্মটি।
মুক্তির প্রথম দিনে দেখা হয়নি। তাই মনে কিছুটা আফসোসও কাজ করেছে। কিন্তু তাই বলে প্রধানমন্ত্রীর জীবন সংগ্রাম নিয়ে তৈরী হাসিনা অ্যা ডটার’স টেল দেখবো না তা কি হয়? ৩১তম বিসিএসের ব্যাচমেটদের নিয়ে ছুঁটে গেলাম বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে। মন নিয়ে দেখলাম বাবা, মা, ভাইসহ পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যদের হারানো বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার জীবনের প্রতিটি সংগ্রামের কাহিনী।
৭০ মিনিটের ডকুফিল্মটিতে একাধিকবার শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানার আবেগঘন কণ্ঠ, জাতির পিতার হত্যার ঘটনা, দুই বোনের নির্বাসিত জীবনের কথাগুলো আমার মত যে কাউকে নাড়া দিবে। শেখ হাসিনার জীবনে যে স্ট্রাগল এটা কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে সহ্য করা, হজম করা সম্ভব না। কিন্তু তিনি একজন নারী হয়ে, সাধারণ মানুষ হয়ে এই সামাজিক আবর্জনাগুলোকে হজম করে সে একটা সূর্ উপহার দিয়েছেন জাতিকে- সেটাও দেখানো হয়েছে এখানে।
শুধু তাই নয়, ডকুফিল্মটিতে প্রধানমন্ত্রী নয়, ব্যক্তি শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার জীবনের কিছু চিত্রই ফুটে উঠেছে যা হয়তো অনেকের কল্পনারও বাইরে। এখানে একাধারে শেখ হাসিনাকে একজন মমতাময়ী মা, আদর্শ স্ত্রী, বোন, যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান, জনগণের নেত্রী হিসেবে দেখা গেছে। সঙ্গে তাদের জীবনের উত্থান-পতনে কাহিনীও ব্যথিত করবে দর্শককে।
সবকিছুর পরে একজন মানুষ যখন সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে তার ভেতর থেকে কিভাবে সামনে পথ চলতে হয় সেই অনুপ্রেরণা পাওয়া যাবে, দিক নির্দেশনাও পাওয়া যাবে এখান থেকে। অনেকটা নিভে যাওয়া পৃথিবীতে আবার কিভাবে নতুন সূর্দয় হয় সেটা এই ছবিতে দেখা গেছে।
পুরো জায়গায় বাবার হত্যাকারীদের নিজ হাতে শায়েস্তা করতে শেখ রেহানার যে বক্তব্য মুভেতে শোনা গেছে এটাও সব হারানো মানুষের মনে সাহসের সঞ্চার করবে।
তবে দীর্ঘ পাঁচ বছরের সাধনার পর এই ডকুফিল্মটি করা হলো আরো কিছু বিষয় আনা যেত বলে মনে হয়। বিশেষ করে শেখ হাসিনার উপর শুধু একুশে আগস্টই নয়, চট্টগ্রামে হামলা হয়েছে, সাতক্ষীরার কলারোয়াতে হামলা হয়েছে এমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ট্রাজেডিও এতে স্থান পেতে পারত। শেখ হাসিনার কিছু কাজ, কিছু মুহুর্তের কথা যা সবাই সবিস্তারে জানেন সেগুলো না এনে আরো গভীরে যাওয়া যেত।
সর্বপোরি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ও অ্যাপলবক্স ফিল্মস এবং এমন চমৎকার একটি উদ্যোগকে সফল করার জন্য জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানাবো। সবাইকে ডকুফিল্মটি দেখার জন্য বলবো। পাশাপাশি বাণিজ্যিক চিন্তাকে পাশে রেখে সবাই যেন দেখতে পারে, জানতে পারে সেজন্য ইউটিউবে এটা প্রকাশের দাবি করবো।