১১:০৯ পিএম, ৫ মার্চ ২০২১, শুক্রবার |
| ২১ রজব ১৪৪২
তানভীর আহমেদ হীরা, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের দেওয়াগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ভাঙ্গারগ্রাম মসজিদের ধর্মীয় শিক্ষক মনিরুল ইসলাম মনির (৪০) কর্তৃক ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে শিশুটির স্বজনরা।
দেওয়ানগঞ্জের ভাঙ্গা গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে মো; মনিরুল ইসলাম (৪০) তিনি মসজিদ ভিত্তিক গনশিক্ষা প্রকল্পের প্রাক প্রাথমিক কেন্দ্রের শিক্ষক।
ধর্ষণের শিকার শিশুর নানী তৃষ্ণা আক্তার জানান, তার নাতনী প্রতিদিন সকালে ভাঙ্গারগ্রাম মসজিদে মক্তবে পড়তে যায়। মক্তবের হুজুর সব শিশুকে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে প্রায়ই ওই শিশুকে কোলে নিয়ে থাকত বলে জানায় শিশুটির সহপাঠী সবিতা (৬)। কিন্তু সবিতার এই কথাটি গুরুত্ব দেন না শিশুটির নানী।
তবে বুধবার বিকেলে তার নাতনীকে গোসল করানোর সময় গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে তিনি অবাক হন। পরে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎস গাইনি চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন এবং দ্রæত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে বুধবার রাতেই ওই শিশুটিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির নানী আরো জানান, তার নাতনীর কাছ থেকে তিনি কৌশলে কথা বলে জানতে পারেন মক্তবের ধর্মীয় শিক্ষক মনিরুল ইসলাম মনির (৪০) তার নাতনীকে ধর্ষণ করেছে। পর পর দুই দিন মক্তবের সব শিশুকে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে মসজিদেই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। শিশুটির বাবা-মা ঢাকায় চাকরি করে, এঘটনা জানার পর তারা জামালপুরে উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন ।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো: আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি আমি জানতে পেয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করি । সেই তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পায় । পরে আমাকে জানালে আমি তখনি এই শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যহতি দেই । এবং সাথে সাথে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানায় ।
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: বাছির উদ্দিন বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে আমাদের নজরে আসে । আমি সং¯িøষ্ট থানাকে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানিয়ে দিয়েছি । তবে থানায় এখন কোন মামলা হয়নি ।
ধর্ষিত শিশুর পরিবার থেকে স্বজনেরা জানায় যেহেতু শিশুটি জামালপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে এবং তার বাবা মা ঢাকায় থাকে সেথান থেকে আসলেই আলোচনা করে মামলা করা হবে বলে জানান ।