১:১৬ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার |
| ১৮ শা'বান ১৪৪৬
এসএনএন২৪ডেস্ক: পুষ্টিগুণে ভরপুর আঙুর ফল। নিয়মিত এই ফল খাওয়ার ফলে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। এতে ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে। এ কারণে অনেকেই পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য আঙুর খেয়ে থাকেন।
এদিকে আঙুরের অন্য এক রূপ অর্থাৎ শুকনো আঙুরকে কিশমিশ বলা হয়। আঙুরের পরিবর্তে যারা কিশমিশ খেয়ে থাকেন, তাদের অনেকেরই প্রশ্ন থাকে, আঙুরে থাকা সব পুষ্টি উপাদান কি কিশমিশেও থাকে? এ নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজধানী ঢাকার লাইফ ট্রাস্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পুষ্টিবিদ মাহিনুর ফেরদৌস। এবার তাহলে আঙুর ও কিশমিশ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
কিশমিশ তৈরির প্রক্রিয়া: আঙুর থেকেই কিশমিশ তৈরি করা হয়। এ জন্য আঙুরের পানি কমিয়ে শুকানো হয়। এতে আকারে ছোট হয়। আঙুরের ধরন অনুযায়ী কিশমিশ তৈরি করা হয়। যেমন, কালো, সোনালি ও সবুজ। পুরো আঙুর রোদে বা বাতাসে শুকানোর মাধ্যমে তৈরি করা হয় কিশমিশ। আর এই শুকানোর প্রক্রিয়া আঙুরের ফ্রুক্টোজকে ফ্রুকটানে রূপান্তর করে। যা এক ধরনের ফাইবার যা কোলেস্টেরল শোষণের ক্ষমতা রাখে।
আঙুরের মতো কি কিশমিশেও পুষ্টিগুণ থাকে: আঙুরে থাকা অধিকাংশ পুষ্টিগুণই কিশমিশে রয়েছে। কেননা, আঙুর থেকে তৈরি করা হয় কিশমিশ। তবে আঙুর শুকানোর প্রক্রিয়ায় এর পুষ্টিগুণে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। এবার সেসব নিয়ে আলোচনা করা হলো।
শর্করা ও ক্যালোরি: কিশমিশে আঙুরের তুলনায় শর্করা ও ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে। কেননা, আঙুর শুকানোর ফলে এর পানি হ্রাস পায়। এতে শর্করা ঘন হয়। প্রতি এক কাপ আঙুর থেকে ১০৩ ক্যালোরি ও ২৭ গ্রাম কার্ডহাইড্রেট পাওয়া যায়। বিপরীতে এক কাপ কিশমিশে প্রায় ৪৯৩ ক্যালোরি ও ১৩০ গ্রাম কার্ডহাইড্রেট থাকে। এ কারণে ক্ষেত্রবিশেষ ডায়াবেটিস রোগীদের কিশমিশ খাওয়া নিষেধ করা হয়।
ফ্যাট: কিশমিশে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। প্রতি এক কাপ আঙুরে ৩৮৫ মিলিগ্রাম ফ্যাট পাওয়া যায়। আর কিশমিশে পাওয়া যায় প্রায় ৮০০ মিলিগ্রাম।
ভিটামিন সি: আঙুর শুকানোর প্রক্রিয়ার কারণে এর ভিটামিন সি উপাদান কিছুটা নষ্ট হয়। এ কারণে কিশমিশে ভিটামিন সি খানিকটা কম পাওয়া যায়।