১২:৪১ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, রোববার | | ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬




রাউজানে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ এএম |


নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের রাউজানে চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।  একই সঙ্গে অপর একটি ইটভাটাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  তবে ভেঙে দেওয়া তিন ইটভাটা মালিকের দাবি, ইটভাটাগুলো পরিচালনার জন্য তাদের উচ্চ আদালতের অনুমতি আছে।  আদালতের নির্দেশনা না মেনে পরিবেশ অধিদফতর ইটভাটা ভেঙে দিয়েছে।  বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রাবার বাগান সংলগ্ন মেলুয়া এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদফতর।  অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদফতর সদর দফতরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার।  অভিযানে মেসার্স এমআর চৌধুরী ব্রিকস-১ (এসএসডি), মেসার্স এম আর চৌধুরী ব্রিকস-২ (এসএসডি) মেসার্স দরবার ব্রিকস কোং (ডিএনসি), মেসার্স বেঙ্গল ব্রিকস কোম্পানি (বিবিসি) নামে চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।  এ ছাড়াও মেসার্স যমুনা ব্রিকস জেবিএল নামে অপর একটি ইটভাটাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।  চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘ইটভাটার চিমনির উচ্চতা ১২০ ফুট।  রাবার বাগান ঘেঁষে ইটভাটা স্থাপন ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না থাকায় চারটি অবৈধ ইটভাটা সর্ম্পূণভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।  জেবিএল নামের ইটভাটার মালিক মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে পাহাড় কাটার অভিযোগে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। ’ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী ইফতেখার উদ্দিনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।  এদিকে, ভেঙে দেওয়া এমআর চৌধুরী ব্রিকস-১ এবং জঙ্গল রাউজান এলাকার এমআর চৌধুরী ব্রিকস-২ ইটভাটার মালিক এসএম শহিদুল্লাহ রনি অভিযোগ করেন, ‘আমি উচ্চ আদালত থেকে ইটভাটা পরিচালনার জন্য সম্প্রতি ছয় মাসের অনুমতি পেয়েছি।  নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও পরিবেশ অধিদফতর অভিযান পরিচালনা করে আমার দুটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।  এতে আদালত অবমাননা করা হয়েছে।  এ ব্যাপরে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ’ মেসার্স বেঙ্গল ব্রিকস কোম্পানি-২-এর মালিক সৈয়দ হোসেন কোম্পানি বলেন, ‘আমি উচ্চ আদালত থেকে ইটভাটা পরিচালনার জন্য ছয় মাসের অনুমতি পেয়েছি।  নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও পরিবেশ অধিদফতরের অভিযান পরিচালনা করে আমার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ’