৫:৫৩ এএম, ১২ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার |
| ৮ রবিউস সানি ১৪৪৬
নকিব ছিদ্দিকী- খাগড়াছড়ি ঘুরে:
নতুন বছরের প্রথম সাপ্তাহে খাগড়াছড়িতে বেড়েছে পর্যটকের সমাগম। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাহাড়ি এ জনপদে আসতে শুরু করেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। অধিকাংশ হোটেল-কটেজ পর্যটকের আগমনে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। খাগড়াছড়ির আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ, ঝুলন্ত ব্রিজ, তারেং, রিছাং ঝরনায় পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। খাগড়াছড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে যেন মায়াবী হাতছানি। পর্যটন মৌসুম ছাড়াও এসব এলাকায় দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক ঘুরে বেড়ান সারা বছর। ,পাহাড়-পর্বত, ঝিরি-ঝর্ণা, লেক, নদী আর পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঘুরে আনন্দের পাশাপাশি অপরূপ প্রকৃতি অবলোকন করবে পর্যটকেরা। খাগড়াছড়ির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্রকিরণ ত্রিপুরা জানান, করোনার প্রভাবে হোঁচট খায় পাহাড়ের পর্যটন শিল্প। এতে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে এ খাত। পর্যটকদের উপস্থিতি মোটামুটি ভালোই ছিল আশা করছি ধীরে ধীরে এ সংখ্যা আরো বাড়বে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু দৈনিক প্রিয় সময়কে বলেন,খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় এ খাতের উপর নির্ভর হাজারও মানুষ কাজ হারিয়েছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকদের খাগড়াছড়ি ভ্রমণের অনুরোধ জানান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। আলুটিলায় ঘুরতে আসা প্রকৌশলী ইরফান জানান, খাগড়াছড়ি এসেছি। মানুষ কেন ইউরোপ বেড়াতে যায়। তাদের আগে পাহাড়ে ঘুরতে আসা দরকার। ’ যাতায়াত সুবিধার কারণে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেকে যাতায়াত করেন। পর্যটকদের আগমনে মুখরিত রুইলুই ও কংলাকপাড়া। এদিকে পর্যটকদের আর্কষণ বাড়াতে কাজ করছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খাগড়াছড়ি পর্যটন নির্ভর শহর। পর্যটকদের চলাচলের সুবিধার্থে পর্যটক সহায়ক স্থাপনা গড়ে তোলা হবে। খাগড়াছড়ির আলুটিলায় নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ, জেলা প্রশাসনের হাতি ফুলকলির সমাধি সৌধ, রিছাং ঝর্ণায় নির্মাণ করা হবে ক্যাবল কার। এতে রিছাং ঝর্ণায় পর্যটকরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবে।