৯:৩৪ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার |
| ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
এসএনএন২৪.কম : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম এর যৌথ উদ্যোগে ২৪ এপ্রিল চবি এ কে খান আইন অনুষদ মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের সচেতনতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাষণ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর এ বি এম আবু নোমানের সভাপতিত্বে এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার জনাব নুরে আলম মিনা। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মো. মজিবুর রহমান পাটওয়ারী। সেমিনারে চবি প্রক্টর প্রফেসর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। সেমিনার পরিচালনা করেন আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব সাঈদ আহসান খালিদ।
উপাচার্য তাঁর ভাষণে উপস্থিত সকলকে স্বাগত ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ের ওপর সেমিনার আয়োজন করায় আয়োজকবৃন্দকে উপাচার্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মাদক একটি সামাজিক অভিশাপ। যুব সমাজকে ধ্বংস করার অন্যতম হাতিয়ার। মাদকের রাহুগ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে দরকার সামাজিক সচেতনতা।
তিনি বলেন, সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হলে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, জীবনে হতাশা-ব্যর্থতা বলতে কিছু নেই; সকল প্রকার হতাশা-ব্যর্থতাকে পদদলিত করে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে আলোকিত করার প্রত্যয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবার আহ্বান জানান। প্রসঙ্গক্রমে উপাচার্য বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত করতে ইতোমধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে জঙ্গি-সন্ত্রাস-দুর্নীতি এবং মাদকমুক্ত রাখতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যার সুফল আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে। উপাচার্য শিক্ষার্থীদেরকে সকল প্রকার নেতিবাচক কর্মকান্ডসহ অসত্য-অসুন্দরকে বর্জন করে সত্য-সুন্দর ও আলোর পথে দিশারী হয়ে শিক্ষাজীবনের প্রতিটি মূল্যবান মুহুর্তকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আলোকিত মানবসম্পদে পরিণত হওয়ার আহ্বান জানান। সেমিনারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উক্ত দপ্তরের মহাপরিচালক মাননীয় উপাচার্যকে ক্রেস্ট প্রদান করেন। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে মাননীয় উপাচার্য ক্রেস্ট প্রদান করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাঁর ভাষণে বলেন, যুব সমাজ হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের নিয়ামক শক্তি। তাদেরকে অন্ধকারের অশুভ শক্তিকে প্রতিরোধ-নিধন করে আলোর পথে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, এখন ‘যৌবন যার, বাংলাদেশকে কিছু দেয়ার সময় তার’। তাই তিনি শিক্ষার্থীদেরকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে দেশ-জাতির আশা আকাঙ্খা পূরণে দৃশ্যমান অবদান রাখার আহ্বান জানান।
সেমিনারে চবি বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে বিভিন্ন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয় এবং জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচিত হয়।