৫:০৫ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার |
| ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫
এসএনএন২৪.কম : ৩০ এপ্রিল The AKS Khan Centre for Excellence- এর উদ্যোগে চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০ টায় ‘Creative Writing’ শীর্ষক এক ওয়ার্কসপ শুরু হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওয়ার্কসপে ভাষণ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। চবি আইকিউএসি-এর পরিচালক প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এবং পরিচালনায় ওয়ার্কসপে প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট এর পরিচালকUGicwiPvjKDr. Mark Bartholomew, নওয়াব আবদুল মালেক জুট মিলস বিডি লি. এর চেয়ারম্যান জনাব সাদ জেড হোসাইন এবং বেংগল লাইটস বুকস এর ম্যানেজিং এডিটর জনাব কিউ পুস্পিতা আলম উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য তাঁর ভাষণে একটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ওয়ার্কসপ আয়োজন করায় আয়োজকবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, জ্ঞান আহরণের নির্দিষ্ট কোন গন্ডি নাই। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে আবাধ জ্ঞান বিচরণ ও আহরণের সর্বোচ্চ পাদপীঠ। এখান থেকে যে যত বেশি জ্ঞান আহরণ করতে পারবে সে ততবেশি নিজের জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারবে। শিক্ষার্থীদেরকে আধুনিক বিশ্বের নব নব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং দেশ-জাতির বৃহত্তর স্বার্থে দক্ষ, যোগ্য ও আলোকিত মানবসম্পদ উৎপাদনই হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূল উদ্দেশ্যে।
এ জন্য আমাদের প্রয়োজন বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ক্যারিকুলাম প্রণয়ন এবং নিয়মিত বিতর্ক, সেমিনার-সিম্পুজিয়াম, ওয়ার্কসপসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ, যোগ্য এবং জ্ঞান সমৃদ্ধ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে টিকে থাকতে হলে আমাদের তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে অধিকতর জ্ঞান-গবেষণায় নিমগ্ন থেকে পারদর্শীতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ করে যথাসময়ে তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের আশা-আকাঙ্খা পূরণ এবং সর্বোপরি মানবকল্যাণ তথা দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় অবদান রাখতে হবে। দিনব্যাপি এ ওয়ার্কসপে আলোচনা-পর্যালোচনা এবং উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানগর্ব আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ভান্ডার আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে উপাচার্য এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ওয়ার্কসপে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত প্রায় ৩৫ জন তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।