৮:৩৫ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার | | ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫




'বইয়ের জাদুঘর চাই না' স্লেগানে চবি শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবী

২২ নভেম্বর ২০২১, ১০:৩৮ এএম |


চবি প্রতিনিধি :

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ব্যক্তিগত বই নিয়ে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  রবিবার (২১ নভেম্বর) বেলা ১০টার থেকে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।  

প্রত্যক্ষসূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বর থেকে জড়ো হয়ে করে প্রথমে ব্যক্তিগত বই নিয়ে লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে গেলে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্তৃক বাধাগ্রস্ত হয়।  অতঃপর তারা লাইব্রেরির মূল গেইট বন্ধ করে সামনের রাস্তা অবরোধ করে 'বইয়ের জাদুঘর চাই না' স্লোগানে প্লেকার্ড নিয়ে ৭ দফা দাবীতে অবস্থান করে।  পরে প্রক্টরিয়াল বডি এসে 'ওয়াইফাই সুবিধা' ব্যতীত বাকি সবগুলো দাবী মেনে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। 

দাবিগুলো হলো, ব্যাক্তিগত বই নিয়ে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা বিনা শর্তে তুলে দিতে হবে, সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ টা লাইব্রেরি খোলা রাখতে হবে, শনিবারও লাইব্রেরি খোলা রাখতে হবে, অন্তত ১ সপ্তাহের জন্য লাইব্রেরি থেকে বই ইস্যু করতে দিতে হবে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনারযথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, লাইব্রেরিতে ওয়াইফাই সুবিধা দিতে হবে ও লাইব্রেরিতে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নূরউদ্দিন জানান, লাইব্রেরি জ্ঞানের চর্চার একটি আলোকবর্তিকা।  সে আলোকবর্তিকা যখন অন্ধকারে রূপ নেয় সিস্টেমের নানা রকম জটিলতায়, যখন হাজার হাজার শিক্ষার্থী লাইব্রেরি বিমুখ হয়ে যায়, তখন আমাদের কি করার থাকে? আমাদের অন্তরের আর্তনাদ যেন কেউ শুনে না।  আমরা লাইব্রেরিতে অবাধ জ্ঞানচর্চা করতে চাই।  বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিয়ে যেন জ্ঞানচর্চার সেই মহৎ সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।  এটাই আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা। 

অপর আন্দোলনকারী একলাসুর রহমান জানান, লাইব্রেরিতে ব্যাক্তিগত বই নিয়ে ঢুকতে পারলে আমরা নিজেদের মত করে পড়াশোনা করতে পারতাম।  লাইব্রেরীর সিস্টেম জটিলতায় আমরা পড়াশোনার পরিবেশ পাচ্ছি না।  দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ব্যাক্তিগত বই নিয়ে ছাত্ররা পড়াশোনা করতে পারলেও আমরা আমাদের গ্রন্থাগারে বই নিয়ে যেতে পারি না।  যার কারনে বাস্তব প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে পড়ছি।  আশা করছি প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে আমাদের পড়াশোনার পরিবেশ করে দিবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, দাবিগুলো আমরা জেনেছি।  তাদের থেকে এক সপ্তাহ সময় নেয়া হয়েছে।  লাইব্রেরি কমিটির সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। 


keya