১:৪৯ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২৩, রোববার |
| ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫
রাউজান প্রতিনিধি: রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কদলপুর এলাকায় পানির সেচ প্রকল্পের জন্য বসানো বৈদ্যুতিক লাইনের খুঁটি থেকে তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে গেছে। ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিবাগত রাতে এ চুরির ঘটনাটি ঘটে। এ ছাড়া নোয়াপাড়ার গরিব উল্ল্যাহ পাড়া থেকে ১টি ও উবলং এলাকা থেকে আরো দুইটি ট্রান্সফরমার চুরির হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কদলপুরে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় কৃষক সৈয়দ আবদুল কাদের রাউজান থানায় অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, কৃষক সৈয়দ আবদুল কাদেরের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ জামানত বাবদ ১৮ হাজার টাকা নিয়ে সেচ প্রকল্পের জন্য ১৫ কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন ৩টি ট্রান্সফরামার স্থাপন করেন। কিন্তু পশ্চিম কদলপুর মগবিল ও মেয়াইব্যা বিলের পাশের খালের গভীরতা কম থাকায় অন্যত্র বসানোর জন্য আরো অনেক বেশি তারের প্রয়োজন। উক্ত তারের জন্য চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর নোয়াপাড়াস্থ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের বরাবরে আবেদন করা হলেও ফ্রি তার সরবরাহ করা হয়নি।
কৃষক সৈয়দ আবদুল কাদের জানিয়েছেন, চুরির ঘটনার পর পুনরায় তিনটি ট্রান্সফরমার বসাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে আবেদন করলে চুরি হওয়া ট্রান্সফমারের মুল্য বাবদ ২লাখ ১৬ হাজার টাকা দাবী করেন। এক দিকে ২লাখ ১৬ হাজার টাকা ক্ষতিপুরন দেয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুতের চাপ, অপরদিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় কৃষি জমিতে সেচের পানি সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের।
তিনি জানান, এলাকার লোকজন থেকে ধার করে ৮২ হাজার টাকা দিয়ে ডিজেল চালিত সেচ পাম্প বসিয়ে সেচ দিয়ে বোরো ধানের চাষাবাদ করছে। সেচ প্রকল্পের ১শত ২০ একর জমির মধ্যে ৭০ একর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। ট্রান্সফমার চুরি হওয়ায় সেচ প্রকল্পের পুরো জমি বোরো ধানের চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর নোয়াপাড়াস্থ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জেনায়েদ জানান, কদলপুরে সেচ প্রকল্পের জন্য বসানো বিদ্যুৎ লাইনের ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার পুর্বে রাউজানের নোয়াপাড়ায় গবির উল্ল্যাহ পাড়া থেকে সাড়ে ৩৭ কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এরপর ফোন করে কদলপুরের সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার কৃষক সৈয়দ আবদুল কাদেরকে সর্তক করা হয় এবং উক্তস্থানে রাতে পাহারা দেওয়ার জন্য বলা হয়।
কদলপুর ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনার সাথে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা জড়িত রয়েছে। বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটিতে উঠতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারী ব্যতিত এই ট্রান্সফমার চুরি করা আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া জানান তার ইউনিয়নের উবলং এলাকা থেকে ট্রান্সফরমার চুরি ঘটনা ঘটেছে।