২:৪৩ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার |
| ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ১৩ নম্বর নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের এলাকায় প্রাচীনতম নৌপথের নাম চৌধুরীহাট ঘাট। এ ঘাট থেকে এক সময় কর্ণফুলী নদী দিয়ে নৌযানে চট্টগ্রাম শহর ও বোয়ালখালী উপজেলায় হাজার হাজার মানুষ চলাচল করতো। এছাড়া চট্টগ্রাম শহর থেকে মালামাল নিয়ে ঘাটে আসতো মাঝি মল্লারা। এ মালামাল ব্যবসায়ীরা রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যেতো। কালের বির্বতনে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় চট্টগ্রাম শহর থেকে কর্ণফুলী নদী দিয়ে নৌযানে মালামাল পরিবহন কমে যায়।
তবে চৌধুরী হাট ঘাটকুল দিয়ে এখনো রাউজানের বাসিন্ধারা নৌপথে জেলার বোয়ালখালী উপজেলার কধুর খীল, চৌধুরী হাট, চরণদ্বীপ, খরনদ্বীপ, বুড়া মসজিদ ঘাটে উঠে যাতায়াত করে। একই ভাবে বোয়ালখালী লোকজন নৌযানে করে রাউজানে আতী¡য় স্বজনের বাড়ী ও বিভিন্ন কাজে যাতায়াত করছে। চৌধুরীহাট ঘাট নিয়ে নানা সমস্যার কথা জানান দুই পাড়ের যাতায়তকারী লোকজন। তারা জানান, কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার আসলে ঘাটের পুরো সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। পানিতে নেমে নারী ও পুরুষরা সাম্পানে উঠে চলাচল করতে হয়। আবার ভাটার সময় কাঁদা মাটি দিয়ে হেঁটে চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে এলাকার লোকজনকে নৌযানে উঠতে হয় ওপাড়ে নৌযান থেকে নামতে হয় । দুই এলাকার শত শত মানুষের চলাচলে চৌধুরী হাট ঘাটকুল সড়কটি নির্মান করা জরুরী বলে জানান স্থানীয়রা। হলে ঘাট দিয়ে চলাচলকারী বাসিন্দ্বাদের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
কর্ণফুলী নদী পারাপারকারী সাম্পানের মাঝি আবু জাহেদ বলেন, নদীতে জোয়ারের সময় সড়কটি তরিয়ে যায়। তখন পানিতে নেমে পরণের কাপড় ভিজিয়ে চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। আবার ভাটার সময় কাঁদা মাটি দিয়ে হেটে পার হতে হয়। জানা যায়, প্রতিজন ১৫ টাকা করে ভাড়া নিয়ে সাম্পান যোগে নদীর পারাপার করে লোকজন। প্রতিবার পারাপাওে ঘাটের ইজরাদার দার শফিকে দিতে হয় ২০ টাকা করে । ঘাট সংস্কার ও সড়ক নির্মান করার দাবী জানান এলাকার লোকজন। ঘাটকুলের ঘাটের ইজারাদার শফি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ থেকে ৭০ হাজার টাকা ইজারা দিয়ে ঘাট নিয়েছি।
রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার সেকান্দর হোসেন বলেন, নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট ঘাটকুল এলাকায় কর্ণফুলী নদীর ঘাটে সম্পানে উঠার জন্য সড়কটি নির্মান করা হলেও বর্ষার মৌসুমে সড়কটি তলিয়ে গেছে। সড়কটি পুনরায় নির্মান করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া।