১২:৫৪ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার | | ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬




রাঙ্গুনিয়ায় সার্বজনীন ধাতুরত্ন বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন

২৯ জানুয়ারী ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম |


রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: রাঙ্গুনিয়ায় দুই শতবর্ষী বাৎসরিক সংঘদান ও আলোচনা সভা শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের নজরেরটিলা সার্বজনীন ধাতুরত্ন বিহারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  ধর্মীয় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধি মহাস্থবির।  দায়ক প্রবীর মুৎসুদ্দী জুয়েলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিহারের অধ্যক্ষ সত্যানন্দ স্থবির, বিহারের উপাসক অমিয় কান্তি মুৎসুদ্দী নিদান, রিপন মুৎসুদ্দী, কনিস্ক মুৎসুদ্দী।  গ্রামের বয়োবৃদ্ধরা জানান," প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে তিরতন শরন মুৎসুদ্দী প্রকাশ বুড়া মুৎসুদ্দীর) জন্ম।  তিনি নিজ গুণাবলীর গুনে নবাব আলী বর্দী খাঁর আমলের অর্থ বিভাগের দায়িত্ব সামাল দিতেন।  তাঁর বিচক্ষণতা এবং সততা দেখে তৎকালীন রাজা রাজ বল্লভ তাকে মুৎসুদ্দী উপাধি দেন এবং প্রচুর সম্পত্তি দান করেন।  এরপর তিনি তাঁর নিজ গ্রামে এসে রাঙ্গুনিয়ার ৫ টি গ্রামে ৫ টি মন্দির দান করেন।  পাশাপাশি মুসলিমদের জন্য কবরস্থানের জায়গা দান করেন।  গ্রামের জেলে ও ধোপা সম্প্রদায়কে জায়গা দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।  উপমহাদেশে তুলাপুরুষ দান করে তিনি এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।  তুলাপুরুষ মানে নিজে তুলায় এক দন্ডে দাড়িয়ে (পাল্লা) সোনা,রুপা ও মুদ্রা মেপে দান করার কারনে তুলা পুরুষ উপাধি পান তিনি।  বংশপরম্পরায় নজরেরটিলা গ্রামে উনার উত্তরসূরিগন মুৎসুদ্দী উপাধি ব্যবহার করে আসছে।  উনার স্মরনে গ্রামে মুৎসুদ্দী পাড়া সড়ক নামে একটি রাস্তা রয়েছে।  ২০০ বছরের অধিক সময়ে উনার স্মরণে বাৎসরিক সংঘদানের আয়োজন করে আসছে গ্রামবাসীরা। 


keya