৩:২১ এএম, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার | | ২১ রজব ১৪৪৬




ইসরায়েলি অস্ত্র জাহাজে তুলতে ভারতের বন্দরকর্মীদের অস্বীকৃতি

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৫ এএম |


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের কোনো অস্ত্রের চালান জাহাজে তুলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।  ফেডারেশন তার সদস্যদের ফিলিস্তিনে বা ইসরায়েলে সামরিক সরঞ্জাম বহনকারী কোনো জাহাজকে আর পরিচালনা না করার আহ্বান জানিয়েছে।  এই শ্রমিক ফেডারেশন ভারতের ১১টি প্রধান বন্দরে ৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব করে।  ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা শ্রমিক সংগঠনের অংশ।  গাজায় যুদ্ধ এবং নারী ও শিশুদের মতো নিরপরাধ মানুষকে হত্যার বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকবে।  গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা করে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন বলেছে, ‘এই যুদ্ধে নারী ও শিশুদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।  বোমা হামলায় নিহত শিশুদের অনেককেই তাদের বাবা-মায়েরাও চিনতে পারেনি।  গাজার সর্বত্র অবিরাম বোমা বিস্ফোরিত হচ্ছে। ' ফেডারেশন জানিয়েছে, যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করে, ইউনিয়ন সদস্যরা সম্মিলিতভাবে সব ধরনের অস্ত্রবাহী কার্গো পরিচালনা করতে অস্বীকার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  এসব অস্ত্র নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করার ক্ষমতা প্রদান করতে সহায়তা করে।  ভারতীয় এই বন্দর শ্রমিক ফেডারেশন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।  এটি যোগ করেছে, ‘দায়িত্বশীল ট্রেড ইউনিয়ন হিসাবে, যারা শান্তির জন্য প্রচারণা চালায় আমরা তাদের সঙ্গে আমাদের একাত্মতা ঘোষণা করছি। ' এর আগে অস্ট্রেলিয়া, স্পেন এবং বেলজিয়ামসহ আরও কয়েকটি দেশের বন্দর শ্রমিকরা অনুরূপ পদক্ষেপ নিয়েছিল।  এই দেশগুলোর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নগুলো তাদের সদস্যদের ইসরায়েলে পাঠানো সামরিক সরঞ্জাম জাহাজে তুলতে অস্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছিল।  এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা বন্দরগুলোতে ইসরায়েলের জন্য সামরিক সরঞ্জাম বহনকারী জাহাজগুলোকে আটকানোর চেষ্টা করে বিক্ষোভ করেছে।  ১৮ ফেব্রুয়ারি, রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার ৯৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।  এছাড়া ৬৮ হাজার ৮৮৩ জন আহত হয়েছে।  নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।  সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে


keya