১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত সূত্রের বরাতে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছে, দ্বিপক্ষীয় উদ্দেশ্যে সীমিত পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি।
অপর একটি সূত্র বলেছে, সরকার বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মৌরিতাস, বাহরাইন, ভুটান ও নেপালসহ কয়েকটি সীমিত পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানির অনুমোদন দিয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ ভারত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এই পণ্য রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। দেশে দাম বৃদ্ধি ও সম্ভাব্য ঘাটতি মোকাবিলার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের এমন সিদ্ধান্তে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় ২০২৩ সালের আগস্টে ভারত রফতানি কমাতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তবে এই প্রত্যাশিত সাফল্য না আসায় ২৮ অক্টোবর থেকে রফতানিকৃত প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম দাম ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
মহারাষ্ট্রের নাশিক ও আহমেদনগরে বৃষ্টি ও শিলা বৃষ্টির কারণে নভেম্বরে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা বিলম্বিত হয়েছে। এতে দাম বাড়তে থাকে এবং সরকার রফতানি নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়। ৮ ডিসেম্বর থেকে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। নাশিকে প্রতি কেজি ৪০ রুপি থেকে নেমে ১৩ রুপিতে এসেছে। এর জেরে কৃষকরা রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন পেঁয়াজ চাষিরা।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রতিনিধি দল মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষের এলাকা সফর করে। রফতানি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রতিনিধি দলটি সরকারের কাছে সুপারিশ দেওয়ার কথা ছিল।
এদিকে, রবিবার বৃহত্তম রফতানিকারকরা সরকারের কাছে লেখা একটি চিঠিতে বলেছেন, পেঁয়াজ রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ না করে সীমিত বিধিনিষেধের আলোকে অনুমোদন দেওয়া উচিত। কারণ বিপুল পরিমাণে রফতানি করা হলে দেশীয় বাজারে উল্লেখযোগ্য দাম বেড়ে যেতে পারে।