২:২৯ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার | | ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬




কুমিল্লা নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বন্যার অবনতি

২৭ আগস্ট ২০২৪, ১০:১৬ এএম |


ডেস্ক রিপোর্ট : কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।  এসব জেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।  ফলে বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা।  কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিতে পারলেও অনেকে নিজ বাড়িতেই আটকে আছেন।  সোমবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) পানির তোড়ে ধসে গেছে।  এদিকে ফেনী, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি ও ব্রহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি জেলায় বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামছে।  তবে দুর্গত সব এলাকাতেই খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।  সড়ক ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এবং নৌযানের অভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ ও ওষুধ পৌঁছানো যাচ্ছে না।  এদিকে বন্যা পূর্বভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, সারা দেশে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।  তিন দিনে ১৩ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ কমেছে।  শুধু কুমিল্লার গোমতী পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, চলমান বন্যায় ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে।  এর মধ্যে কুমিল্লায় ছয়জন, ফেনীতে এক, চট্টগ্রামে পাঁচ, খাগড়াছড়িতে এক, নোয়াখালীতে পাঁচ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক, লক্ষ্মীপুরে এক ও কক্সবাজারে তিনজন।  এছাড়াও মৌলভীবাজারে দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।  তিনি জানান, বন্যা আক্রান্ত ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারের ৭৪টি উপজেলার মোট ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৭ লাখ এক হাজার ২০৪ জন। 


keya