৭:১৬ এএম, ১২ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার | | ৮ রবিউস সানি ১৪৪৬




চসিকের হিসাবরক্ষকের ঘুষ নেওয়ার সত্যতা মিলেছে তদন্তে

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ এএম |


নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে উন্নয়নকাজের বিলের জন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।  এ সংক্রান্ত গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।  তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে বিভাগীয় মামলা।  সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘চসিকের হিসাব বিভাগের হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হয়।  এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।  এ কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘মাসুদুল ইসলামকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০১৯-এর বিধি ৪৯ দফা (খ) অনুসারে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে।  কেন তাকে ওই বিধি মোতাবেক উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। ’ এর আগে উন্নয়নকাজের বিলের জন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।  গত ২৭ আগস্ট তাকে বরখাস্ত করে এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।  সিটি করপোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা এবং জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদকে সদস্য করা হয়।  ওই সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।  ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। ’ হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামের ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সম্প্রতি সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে ছড়িয়ে পড়ে।  ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ঠিকাদারকে বিলের চেক দেন তিনি।  তখন ওই ঠিকাদার তার হাতে টাকা দেন।  টাকা নিয়ে তা নিজের প্যান্টের পকেটে রেখে দেন।  তবে টাকার অঙ্ক স্পষ্ট দেখা যায়নি।  এক মিনিট ৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, আরেকজন ৫০০ টাকার নোট দিচ্ছেন মাসুদুলকে।  ভিডিওতে থাকা দুই ঠিকাদারের পরিচয় জানা যায়নি। 


keya