০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম |
এসএনএন২৪ডেস্ক: ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে বেশিরভাগই পুনরায় চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়াদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা জানান তিনি।
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের পুনরায় তদন্ত হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধে জড়িত ছাড়া বাকিরা সবাই নিয়োগ পাবে।
প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএস থেকে ২২৭ জন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবং ৪০ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার জন্য বাদ পড়েছেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. উজ্জল হোসেনের সই করা এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় গত বছরের জানুয়ারিতে ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
পরে, গত ১৫ অক্টোবর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও জেলা প্রশাসকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৫৯ জনকে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় ৪০ জনকে বাদ দিয়ে বাদ দিয়ে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন জারির পর এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আসে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় বলছে, সমালোচনা এড়াতে 'ক্লিন ইমেজ' প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে আগে সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে আবার যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের প্রতিবেদনে ২২৭ প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং তাদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পরে গত ৩০ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিবেচনায় অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তবে, সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জন পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।