২:৪৫ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার |
| ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫
এম,মনিরুজ্জামান,রাজবাড়ী : বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা মীর মোশারফ হোসেনের ১০৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ১৯ডিসেম্বর। সোমবার নিরবে নিভৃতে পদমদীতে মীরের মাজার প্রাঙ্গনে স্থানীয়দের মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমেই পালিত হল কালজয়ী এই মুসলিম সাহিত্যিকের মৃত্যু বার্ষিকী।
আর দিনটিকে ঘিরে এই সাহিত্যিকের মাজার রাজবাড়ীর পদমদীতে তার স্মৃতি কেন্দ্রে বাংলা একাডেমীর উদ্যেগে নেয়া হয় নাই কোন কর্মসূচী।
এদিকে লোকবলের অভাবে মীর মোশারফ হোসেন স্মৃতি জাদুঘরটি চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। আর এ সংকট সমাধানে স্থানীয় প্রশাসনেরও নেই কোন প্রয়োজনীয় উদ্যেগ। ফলে দিনের পর দিন এখানে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও কমে আসছে আশঙ্কাজনক হারে। এলাকাবাসীর দাবি, সরকারের প্রয়োজনীয় সুনজরেই রক্ষা পাবে এই সাহিত্যিকের স্মৃতি কেন্দ্রটি।
বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা মীর মোশারফ হোসেন । বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদান তার। বিষাদ সিন্ধু তার কালজয়ী উপন্যাস। ১৯১১ সালের আজকের এই দিনে রাজবাড়ীর পদমদীর জমিদার ষ্ট্রেটে মৃত্যু বরণ করেন তিনি। জমিদারের রাজ কর্মচারী হিসেবে এই সাহিত্যিককে মৃত্যু পরবর্তী সমাধিস্থ করা হয় রাজবাড়ীর পদমদীর নিভৃত পল্লীতে।
দীর্ঘ সময় তার সমাধী অযতেœ থাকার পর বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার নির্দেশে বাংলা একাডেমী সেখানে স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরী করে। এছাড়া সেখানে করা হয় উন্নত লাইব্রেরী ও সেমিনার সেম্পুজিয়মের জন্য নির্মান করা হয় অডিটোরিয়াম। কিন্তু শুরু থেকেই কমপ্লেক্স তত্ত¡াবধানে মাত্র তিন জন কর্মচারী নিয়োগ করে বাংলা একাডেমী। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তাও এ বছর একজন কর্মচারী বদলি হয়ে গেছেন। শুরু থেকেই লাইব্রেীয়ান নাই। তাই ওই লাইব্রেীটি শুধু জন্ম ও মৃত্যুদিনে কোন অনুষ্ঠান হলে খোলা হয়। নাই প্রয়োজনীয় সংখ্যক বই।
পরে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও বদলি হয়ে চলে গেলে আর কোন নিয়োগের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যার ফলে প্রতিষ্ঠানটি এখন লোকবল শূন্যতায় ভুগছে। আর প্রশাসনের সঠিক তদারকীর অভাবে এটি পরিনত হয়েছে অবাঞ্চিত লোকজনের বিচরণক্ষেত্র।
বালিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজদ জানান, মীর মোশারফের এ স্থাপনাটিতে সরকারের সঠিক নজরদারী থাকলে দিন দিন দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
মীর মোশারফ হোসেনের এই ১০৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সাহিত্য প্রেমীদের দাবি, তার স্মৃতি স্থাপনায় প্রাণ ফিরিয়ে আনতে রাজবাড়ী থেকে একটি পাকা রাস্তা, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ ফাঁড়ি ও হোটেল মোটেল নির্মান করা হোক।