৫:০২ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার |
| ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫
এসএনএন২৪ ডেস্ক:
ভারতে ১১ অক্টোবরে শুরু হওয়ার কথা ছিল মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ। কিন্তু ফিফার গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করায় সেই আয়োজন হুমকির মুখে পড়েছে। দেশটির সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ফলে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফুটবল কার্যক্রমে আপাতত অংশ নেওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে দেশটি।
মূলত ভারতের ফুটবল ফেডারশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণেই ফিফা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। আর সেই তৃতীয় পক্ষটি হলো- কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স। ফিফা বিবৃতিতেও সেই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে, ‘দ্য ব্যুরো অব ফিফা কাউন্সিল সর্বসম্মত ভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে, অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ থাকায় তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হলো। যা আসলে ফিফার গঠনতন্ত্র বিরোধী। ’
ফিফা আরও জানিয়েছে, নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কমিটি যখন ফেডারেশনের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখতে শুরু করবে। তখন থেকে এই নিষেধাজ্ঞার শাস্তি উঠে যাবে।
এআইএফএফ-এর নতুন সংবিধান চূড়ান্ত করতে হবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে। নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। নির্বাচনে যারা জিতবেন, সেই কমিটিকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করতে হবে।
সেখানে আসন্ন অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়েও কথা বলেছে ফিফা, ‘এই নিষেধাজ্ঞার মানে হলো আপাতত সেখানে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা যাচ্ছে না। ’
কলকাতার আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ফেডারেশনের সভাপতি পদে ছিলেন প্রফুল্ল প্যাটেল। যা নিয়ে মামলাও হয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে। যার পর এই বছরের মে মাসে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তখন দায়িত্ব নেয় তিন সদস্যের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স। এখন পুরো বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। নির্বাচন নিয়ে রায়ের পরই হয়তো পরবর্তী বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে।
আগামী ১৭ আগস্ট নির্বাচন ও ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রের নতুন সংযোজন নিয়ে কোর্টের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনবার কথা।
কীভাবে নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হতে পারে ভারতের ফুটবল :
এআইএফএফকে ফিফার নির্বাসন থেকে মুক্ত হতে হলে সিওএ’কে সরতে হবে এবং ক্ষমতায় আসতে হবে এআইএফএফ-এর নতুন এক্সিকিউটিভ কমিটিকে। নতুন এক্সিকিউটিভ কমিটি এআইএফএফ-এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হাতে পেলে তবেই এই নির্বাসন থেকে মুক্ত হবে ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।