৫:৩৫ এএম, ২ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার |
| ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫
ইফতেখায়রুল ইসলাম:
মোবাইল ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎ দেখি আমার মেয়েটার ১ বছর বয়সের ছবি। একেবারেই জাপানি পুতুলের মতো দেখাচ্ছিল ছবিতে। মেয়েটা চোখের সামনে একটু একটু করে বড় হচ্ছে।
আমার মেয়ে শুধু আমাকেই একটু ভয় পায় আর কাউকে না, সবাই তাকে আদর করে আর আমার স্ত্রী আমার উপরেই শাসনের ভার ছেড়েছে। তাঁর শাসনের চেষ্টা থাকে তবে মেয়ে একটু আধটুই পাত্তা দেয়! সমস্যা হলো আমার বাবাকেও দেখতাম বোনদের সরাসরি কিছু বলতো না। মাকে বলতো। আর আমি বাধ্য হয়ে উল্টোটা করছি আদুরে মেয়েটার সাথে।
কাল রাতে ছেলে বাবুটার পোশাক পরিবর্তনের সময় উঠে গিয়ে তার পিচকু শরীরে চুমুর রেখা একে দিচ্ছিলাম, আর সে তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছিল।
আহারে জীবন! এক সময় আমার বাবাও আমাকে হাতের তালুতে বসিয়ে চুমু খেতেন। ছোটবেলার এই একটা স্মৃতি আমার চোখে ভাসে সবসময়।
বাচ্চাগুলো বড় হয়ে যায় আমরা বুড়ো হয়ে যাই। বাচ্চাগুলো আমাদের জায়গায় আসে আমরা বাবাদের জায়গায় চলে যাই। এই অদ্ভুত সাইকেল আমাদের সকলের জানা, তাও মনের ভিতর কী সুতীব্র ঘৃণা পুষে একেকজন বেঁচে আছি। জীবনকে নিজের মুখ ও মন দিয়ে বিভীষিকাময় করে গড়ে তুলতে পারলেই অনেকে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান হয়তো! নয়তো এতো শ্লেষ, বিদ্বেষ, জিঘাংসা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারার কথা তো নয়!
পৃথিবী সুন্দর হোক! আমাদের সন্তানেরা জিঘাংসামুক্ত থাকুক।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক : এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত, ডিএমপি।