৭:৪৭ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার |
| ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫
এসএনএন২৪.কম : শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর আবদুল আলীম বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। কর্তব্যে অবহেলা, তদবিরে একাধিকবার ঢাকা ভ্রমণ, কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা, সর্বশেষ বোর্ডের ফলাফল সংক্রান্ত গোপন নথিপত্র পেনড্রাইভে করে বাইরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
শিক্ষা বোর্ডের গঠিত তদন্ত কমিটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ফলাফলের সিডি চেয়ে আবেদন করে। ওই আবেদনে চেয়ারম্যানের রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রফেসর আবদুল আলীম স্বাক্ষর করে ফলাফলের গোপন দলিল পেনড্রাইভে দিতে নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বোর্ড চেয়ারম্যান নড়েচড়ে বসেন। কিন্তু এখন নিজ দায় এড়াতে তৎপর হয়েছেন। তিনি নিজে নির্দেশ দিয়ে নিজে ব্যাখ্যা তলবের জন্য গতকাল ২ মার্চ সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্টকে পত্র দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে সম্প্রতি পেনড্রাইভে করে ফলাফল বাইরে ‘নিয়ে-যাওয়ার’ বিষয়টি সামনে এসেছে। বড় ধরনের এ অনিয়মের ঘটনার জন্য দায়ী করা হচ্ছে বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা সচিব অধ্যাপক আবদুল আলীমকে। তার অনুমতিতেই এ ফলাফল বাইরে গেছে। এ নিয়ে শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ফলাফলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চলছে নানা সমালোচনা। স্থবির হয়ে পড়েছে বোর্ডের নানা কার্যক্রম।
জানা গেছে, পাবলিক পরীক্ষার লাখো শিক্ষার্থীর ফলাফল সংক্রান্ত যাবতীয় ডাটা (তথ্য) শিক্ষাবোর্ডের পাশাপাশি এবং ফল প্রকাশে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান টেলিটক ও বুয়েটের কাছেই সংরক্ষিত থাকে। প্রতিটি শিক্ষাবোর্ড নিজেদের ফলাফল সার্ভারে সংরক্ষণ করে। প্রয়োজনে আন্তঃবোর্ড এসব ডাটা ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্রের এ সব নিয়ম-নীতির কোনো ধরনের তোয়াক্কা না করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রামের এইচএসসি ২০২১ পরীক্ষার ফল সার্ভার থেকে পেনড্রাইভে করে বোর্ডের গঠিত একটি তদন্ত কমিটির সদস্যরা বাইরে নিয়ে গেছেন। এতে করে বোর্ডের শিক্ষার্থীদের গোপনীয় তথ্য সংরক্ষণে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (বর্তমান সচিব) অধ্যাপক আবদুল আলীম জানান, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। সেহেতু একটা তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে পারবো না। যদি এ বিষয়ে কারো কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে বোর্ডে যোগাযোগ করলে আমরা দেখবো।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। বিষয়টি আমরা দেখছি।